কাঠাল সংরক্ষণের কিছু আধুনিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাই??

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, উপজেলা কৃষি অফিসার, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    প্রযুক্তির নাম :কাঁঠালের অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড পণ্য বিস্তারিত বিবরণ : কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। কাঁঠালে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন রয়েছে। অসমোটিক ডিহাইড্রেশন পদ্ধতিতে কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে এর অপচয় যেমন রোধ করা যায় তেমনি সারা বছর জুড়ে এ পুষ্টিকর ফলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়। কাঁঠালের অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড পণ্যের জন্য প্রথমে কাঁঠালের খোসা ছাড়িয়ে রোয়া বের করতে হয়। রোয়াগুলো থেকে বীচি আলাদা করে রোয়াগুলো লম্বলম্বিভাবে দুই টুকরা করতে হয়। অত:পর রোয়াগুলো ১০০০ পিপিএম পটাষিয়াম মেটাবাই সালফাইট (কেএমএস) মিশ্রিত ৪৫ ব্রিক্স চিনির সিরায় (১ লিটার পানিতে ৮১৮ গ্রাম চিনি) আধা ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হয়। অত:পর রোয়াগুলো চিনির সিরায় রেখে ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তাপ প্রয়োগ করতে হয়। অত:পর রোয়াগুলো কেবিনেট ড্রায়ারের ট্রে-তে স্থানান্তর করে পর্যায়ক্রমে ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ২৪ ঘন্টা, ৫৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় আরও ২৪ ঘন্টা এবং শেষে ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৮ ঘন্টা পর্যন্ত শুকানো হয়। এভাবে শুকানোর পর অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড কাঁঠালগুলো এইচডি পলিইথিলিন প্যাকেটে প্রায় ৮ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। কাঁঠালের অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড পণ্য (ছবি-১) কাঁঠালের অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড পণ্য (ছবি-২