এবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম রপ্তানি হচ্ছে ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডসে

এবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম রপ্তানি হচ্ছে ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডসে

বাহারি আর সুস্বাদু আমের প্রসঙ্গ উঠলেই মাথায় আসে রাজশাহীর নাম। এখানকার আম দেশের সব অঞ্চলে সমান সমাদৃত। তবে রাজশাহীর মধ্যে বাঘা উপজেলার আম মানুষের বেশি পছন্দ। এ উপজেলার আমের খ্যাতি দেশজুড়ে। তবে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখানকার আম এবার বিদেশে জায়গা করে নিয়েছে।

চলতি মৌসুমে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, পর্তুগাল, নরওয়ে, ফ্রান্স ও রাশিয়ায় রফতানি শুরু হয়েছে বাঘা উপজেলার আম। এরই মধ্যে ২.৮ টন হিমসাগর ও ল্যাংড়া জাতের আম রফতানি করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ টন আম নিয়েছে আগুরা সুপার শপ। গত চার বছর থেকে এ উপজেলার আম রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হটেক্স ফাউন্ডেশন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমে আম রফতানি শুরু করা হয়েছে।

জানা গেছে, আম রফতানির জন্য ৫০ জন বাগান মালিককে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পরে তাদের তালিকাভুক্ত করে সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষীরা কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি আম ঢাকার বিএসটিআই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিম বাগান পরিদর্শন করেন। ফলে এ উপজেলার আম বিদেশে রফতানিযোগ্য হিসেবে বিবেচিত করার পর থেকে রফতানি শুরু করা হয়েছে।প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১৫ মে গুটি আম, গোপালভোগ ২০ মে, রানীপছন্দ ২৫ মে, খেরসাপাত (হিমসাগর) ২৮ মে, লখনা ২৬ মে, ৬ জুন ল্যাংড়া, আমরুপালি ও ফজলি ১৬ জুন, আশ্বিনা ১৭ জুলাই পর্যন্ত গাছ থেকে পেড়ে রফতানি শুরু করেছেন আমচাষীরা।

এ উপজেলার আমের মধ্যে ফজলি, খেরসাপাত (হিমসাগর), গোপালভোগ, মহনভোগ ও ল্যাংড়া বিখ্যাত। এছাড়া বৌ-ভুলানি, রানীপছন্দ, জামাই খুশি, বৃন্দাবন, তুতাপরি, লখনা, বোম্বাই, খেরসাপাত, দাউদ ভোগ, সেন্দুরি, আমরুপালি, আশ্বিনা, ব্যানানা, মল্লিকা, ক্ষুদি খেরসাপাত, কালীভোগসহ প্রায় শতাধিক জাতের আম রয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) গুটি আম পাইকারি হিসেবে প্রতি মণ সাড়ে ৮০০ থেকে সাড়ে ১২০০ টাকা, খেরসাপাত (হিমসাগর) ১৮৫০ থেকে ২৪০০ টাকা, গোপালভোগ ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা, ল্যাংড়া ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা, লখনা সাড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, চলতি মৌসুমে ৩৩ টন আম বিদেশে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা রয়েছে। তবে ১ জুন থেকে ৩৬.৪৭ টন আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা হয়েছে।