দেশের আার্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকা অপরিহার্য: কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক

দেশের আার্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকা অপরিহার্য: কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক

দেশের আার্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকা অপরিহার্য: কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক


দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রগতিতে কৃষি ও কৃষক কেবল গুরুত্বপূর্ণই নয়, বরং অপরিহার্য। কৃষি উৎপাদন ভালো হলেই জাতীয় অর্থনীতি সবল ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। ৭ জুলাই ২০১৯ তারিখে রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এগ্রিবিজনেস উদ্ভাবন: টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক কেবল খাদ্য উৎপাদনেই নয়, পুষ্টি সমস্যা সমাধানে, শিল্পায়নে, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্যের অধিকাংশই আসে কৃষি থেকে। খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে শিল্পের কাঁচামাল পর্যন্ত সবকিছুর যোগান দেয় কৃষি।


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি প্রকৃতি নির্ভর। প্রকৃতির সাথে লড়াই করে কৃষকেরা আমাদের খাবারের যোগান দেয়। এক সময় বাংলাদেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, মঙ্গা কবলিত দেশ। এখন আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। দেশের ৪০ শতাংশ জনশক্তি কৃষির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৪ শতাংশ, যদিও জিডিপিতে এর অবদান দিন দিন কমছে। তবে এটা ভালো লক্ষণ যে আমাদের কলকারখানা বৃদ্ধি পাচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, মানুষের আয় বাড়ছে।


কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ খাদ্য, পুষ্টি নিশ্চয়তা ও কৃষির আধুনিকায়ণের অঙ্গীকার ছিলো। কৃষি উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত  গ্রহণ করেছে এবং কাজ চলমান রয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকরণের লক্ষ্যে সরকার কৃষিযন্ত্রে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে। সারের মুল্য তিন দফা কমানো হয়েছে, সেচে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কৃষির সমস্যা হচ্ছে আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বাজারে। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে রপ্তানির কোন বিকল্প নেই।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালেয়র উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে আরও বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং বিভাগের উপপ্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ কুদ্দুস, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ও পরিচালক অধ্যাপক কাদম্বোট এইচ এম সিদ্দিকী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালেয়র অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম ইসমাইল হোসেন এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালেয়র ভিজিটিং প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম।