স্ট্রবেরির রোগ বালাই ও সংগ্রহপরবতী সমস্যা

স্ট্রবেরির রোগ বালাই ও সংগ্রহপরবতী সমস্যা

স্ট্রেবেরি একটি সুস্বাধু ফল। ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এই ফলের চাষ হয়। এখন বাংলাদেশে এই ফলের জনপ্রিয়তা ও চাষ দুটোই দিনদিন বাড়ছে। রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও পাবত্য অঞ্চলে এ ফলের চাষ হয়। ১৯৯৬ সালে স্ট্রবরেরি আগমন ঘটে বাংলাদশেে এবং ২০০৭ সাল থকেে বাণজ্যিকি ভত্তিতিে শুরু হয়ছেে এর চাষ। রাবি-১, রাবি-২ এবং রাবি-৩ নামে তিনটি স্ট্রবেরি জাত ২০০৭ সালে উদ্ভাবন করা হয়। পরে ওই বছরই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্ট্রবেরি চাষ শুরু হয়।এ ফলের চাষে কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল অবস্থার সমুক্ষীন হয়।বিভিন্ন ধরনের রোগবালাইয়ের আক্রমন ঘটে।

স্ট্রবেরির গোড়া পচা রোগঃ

আক্রমনের লক্ষনঃ আক্রান্ত গাছের ক্রাউন/গোঁড়া অংশে টানলে/কাটলে কমলা লাল থেকে গাঢ় বাদামি লাল রঙ দেখা যায় এবং আক্রান্ত অংশ থেকে কিছুটা দুর্গন্ধ বের হয়। এক ধরনের জীবাণু স্ট্রবেরি গাছের ক্রাউনের এক প্রান্ত থেকে আক্রমণ শুরু করে যা গাছের ওপর থেকে বোঝা যায় না। তারপর ক্রমান্বয়ে গাছের ক্রাউন অংশ পচে গেলে গাছটি হঠাৎ করে ঢলে পড়ে এবং পাতা হলুদ বা বাদামি হয়ে যায়।


প্রতিকারঃ

১)আক্রান্ত গাছ থেকে চারা সংগ্রহ করা যাবে না।

২)চারা সংগ্রহের সময় সুস্থ সবল চারা সংগ্রহ করতে হবে।
৩)প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে(সেপানীল ০.১ ভাগ্র করতে হবে। সেপানীল প্রয়োগের দুদিন পর ১ মন ছাই, ১ কেজি পটাশ সার, ১/২ কেজি রিডোমিল মিশিয়ে গাছের গোড়ায় ১ মুঠো করে দিতে হবে)।

স্ট্রেবেরি সংগ্রহের পর করনীয়ঃ

স্ট্রেবেরি সংগ্রহের পর তা সংরক্ষণ করা বা বাজার জাত করা অনেক কঠিন। সংগ্রহ পরবতী সংরক্ষনের অভাবে এ ফল সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। পাউডারী মিলডউ এর আক্রমনে ফলে এ ফল দ্রুত পচে যায়। 

করনীয়ঃ

১) ফল সংগ্রহের সময় যেন আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখা।

২) সংগ্রহের পর  ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখা।

৩) বোটা সহ সংগ্রহ করা।

৪) দ্রুত শীতলীকরনের ব্যবস্থা করা।

৫) বাজারজাত করনের সময় যেন ফলে আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ রাখা।