দৃষ্টি গ্রামের উন্নয়নে --কৃষিমন্ত্রী

দৃষ্টি গ্রামের উন্নয়নে --কৃষিমন্ত্রী

নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ছিল ‘আমার গ্রাম–আমার শহর’: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। উন্নয়নচিন্তার মধ্যে গ্রামকে স্থান দেওয়া। নাগরিক আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা এবং নাগরিক অধিকার গ্রামেও নিশ্চিত করা। অতিশীগ্রই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে যেখানে বর্তমানে ৬০ শতাংশ গ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎ রয়েছে । যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সকল গ্রামকে জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। কর্মসংস্থানের জন্য জেলা-উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে।  ১৮ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রী ড.মো:আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর একটি হোটেলে Global Food Policy Report 2019 Launching অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।


কৃষি মন্ত্রী বলেন; দারিদ্র পিড়িত অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে।নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি,মৌলিক প্রয়োজনগুলোর অভাব এবং সুযোগ সীমিত।শহরের মানুষের খাদ্য সরবরাহ করে থাকে গ্রামের কৃষক। কৃষক বাচলে দেশ বাচবে,কৃষক বাচাতে হলে কৃষি পণ্যের সঠিক মুল্য নিশ্চিত করতে হবে,এখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষি,সে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে সরকার। উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে কৃষিকে অবশ্যই বানিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।


প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে;বর্তমানে বিশ্বে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ১৭ শতাংশ এবং শহরে এ হার ৭ শতাংশ।গ্রামীণ পরিবেশ হুমকির মুখে রয়েছে: যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, বনাঞ্চল ধ্বংস,ভুমিধ্বস এবং পরিবেশ দূষণ ।প্রতিবেদনে মূল ফোকাস ছিল গ্রামের পুনরুজ্জীবনের ত্বরান্বিত করা।এখানে বলা ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রামের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করা। যোগাযোগ,বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন। কৃষির যান্ত্রিকিকরণ ও আধুনিক-বাণিজ্যিক কৃষি,নারীর ক্ষমতায়ন এবং সর্বপরী গ্রামে কর্মসংস্থান সৃর্ষ্টির মাধ্যমে গ্রামের মানুষের আয়ের সংস্থান করা।


অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব)ড. শামসুল আলম । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম । শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. আক্তার আহমেদ,ইফরির প্রতনিধি। মূল প্রবন্ধ উপস্থান (ইফরি) করেন ড.সিনজেন ফ্যান, মহাপরিচালক,আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট। আলোচক ছিলেন ড.হোসেন জিল্লুর রহমান,নির্বাহী চেয়াম্যান ,পিপিআরসি, ড.সাত্তার মন্ডল অ্যামিরটার্স প্রফেসর,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় । 

উত্তর সমূহ

  1. মোঃ জসিম উদ্দিন ,কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার

    অসাধারণ লিখনি।