নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় রবি মৌসূমে সেচ সমস্যা

নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় রবি মৌসূমে সেচ সমস্যা

ঐতিহ্যবাহী বেগমগঞ্জ উপজেলা কৃষিতে সমৃদ্ধ। আবহমানকাল থেকে এ উপজেরা কৃষি প্রধান। প্রধান ফসল ধান ছাড়াও এখানে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফলফলাদি উৎপন্ন হয়। র্বতমানে রবি মৌসূমের প্রধান ফসল হচ্ছে বোরো ধান। উপজেলার প্রায় ১৭০০০ হে: জমিতে উফশি ও হাইব্রীড জাতের ধান চাষাবাদ হচ্ছে। এছাড়াও ৬৫০ হে: জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চাষাবাদ হচ্ছে। কিন্তু রবি মৌসূমে র্পযাপ্ত সেচ সুবিধা না থাকায় কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শীতকালে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এ মৌসূমে ফসল উৎপাদনের জন্য কৃত্রিম সেচের উপর র্নিভর করতে হয়। এ উপজেলার খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া এবং খালগুলোর সংস্কার না হওয়া, উপযুক্ত স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে পানি সংরক্ষনের ব্যবস্থা না থাকা এবং র্পযাপ্ত গভীর ও অগভীর নলক’পের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকদের রবি মৌসূমের ফসলে সেচ প্রদানে ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে। এতে ভাল ফসল উৎপাদনে অনিশ্চয়তা রয়েছ্। সর্বোপরি এ সমস্যা ২০১৮-১৯ মৌসূমে আরও প্রকট আকার ধারন করবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।


এ উপজেলায় রযেছে ২০/২৫ টি প্রধান খাল ও ৪০/৪৫ টি শাখা খাল। এ খালগুলি সংস্কার করা হলে রবি মৌসূমে প্রায় ১৮০০০ হে: জমিতে নির্বিঘে সেচ সুবিধার আওতায় এনে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। আর এজন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গভীর ও অগভীর নলক’প স্থাপনের করে সেচ সুবিধা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এছাড়াও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক সেচ প্রযুক্তি সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। রবি মৌসূমের শুরুতে খালের উপযুক্ত স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ র্নিমান করে পানি সংরক্ষন করা গেলে অনেক জমি সেচের আওতায় নিয়ে আসা যাবে। যার ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে। আমাদের অসামান্য র্অজন দেশকে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানসহ অচিরেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করবে।