কেঁচো সার : আয় বাড়াচ্ছে প্রান্তিক কৃষকের

কেঁচো সার : আয় বাড়াচ্ছে প্রান্তিক কৃষকের

কেঁচো সার সম্প্রসারণের গল্পটি এ দেশে খুব বেশী পুরানো নয়। বছর দশেক আগেও এই সার ছিল জন সাধারনের কাছে অপরিচিত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রমের দরুন সারা দেশে কৃষক পর্যায়ে এ সার এখন উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হচ্ছে। এ সার দিয়ে উৎপাদিত ফল, সবজির স্বাদ ভাল হওয়ায় কৃষকরা সবজি চাষে এ্ সার ব্যবহার প্রতি দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে যা কেঁচো সার উৎপাদনকারী কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে।

যেমন চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার পূর্ব হিংগুলী গ্রামের কৃষক আবুল কালাম এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় তিনটে রিং বসিয়ে কেঁচো সার উৎপাদন করতে শুরু করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রতি রিং থেকে প্রতি ৩০-৪০ দিনে ৫০ কেজির উপর কেঁচো সার উৎপাদন করছেন যা স্থানীয় কৃষকরা প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে তার বাড়ির আঙ্গিনা থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছে। হিসেব করে দেখা গেছে আবুল কালাম প্রতিটি রিং থেকে বছরে প্রায় ৫০০ কেজি র্ভামি কম্পোষ্ট উৎপাদন করছেন যার বাজার মূল্য গড়ে দশ হাজার টাকা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার র্ভামি কম্পোষ্ট উৎপাদনকারী কৃষকের সাথে আলাপকালে দেখা যায় প্রায় সকলের আয় বৃদ্ধিতে র্ভামি কম্পোষ্ট সার বেশ গূরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করছে।

এ ব্যাপারে মীরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব বুলবুল আহমেদ বলেন, র্ভামি কম্পোষ্ট ব্যবহারে উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি মাটির স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। স্থানীয় পর্যায়ে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্ভদ্ধকরনের মাধ্যমে এ সার উৎপাদনে কৃষকদের কারিগরী সুবিধা প্রদান করে চলেছে।