রাইসটান্সপ্লান্টার যন্ত্র সিলেট সদর উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে

রাইসটান্সপ্লান্টার যন্ত্র সিলেট সদর উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে


সিলেট সদর উপজেলায় ধানের আবাদ বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু আবাদ বৃদ্ধির মূল সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকের অভাব। শ্রমিকের অভাব থাকার কারণে অনেক কৃষক ধান চাষে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছে। নিরুৎসাহিত কৃষকদের ধান চাষের আগ্রহী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। কৃষি যন্ত্রের মধ্যে রাইসটান্সপ্লান্টার অন্যতম যন্ত্র। এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ধানের চারা রোপন করা যায়। এ যন্ত্রের মাধ্যেমে প্রতি ঘন্টায় ৩০-৪০ শতাং জমিতে চারা লাগানো যায়। রাইসট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহারে জ্বালানী খরচও কম হয়। মাত্র ০.৫-.০৬ লিটার অকটেন দিয়ে এক বিঘার বেশি জমি চাষ করা যায়। তাই ধান উৎপাদনে কৃষকের উৎপাদন খরচও কমে যায় এতে কৃষকের ধান চাষে আগ্রহ বাড়বে।

রাইসট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহারের কৌশল ঃ রাইসট্রান্সপ্লান্টার দ্বারা জমিতে চারা রোপন করলে চারা সাধারনত বীজতলা তৈরী না করে চারা উৎপাদন  কাজে ট্রে ব্যবহার করা হয়। ট্রে এর উপর কাগজ বিছিয়ে মিহি করা মাটির গুড়ো চালনি দিয়ে চেলে ট্রের কাগজে রেখে ট্রে এর অর্ধেক উচ্চতা পর্যন্ত পরিপূর্ণ করতে হয়। প্রতিটি ট্রেতে ১৩০-১৫০গ্রাম  পর্যন্ত বীজ বিছিয়ে দিয়ে  এর উপর আরেক স্তর মাটি দিয়ে সঠিক ভাবে ভরাট করা হয়। সিঞ্চন যন্ত্র দিয়ে প্রতিদিন হাল্কা করে পানি ছিটাতে হবে।এক বিঘা জমিতে চারা রোপনের জন্য ২০-২২টি ট্রে প্রয়োজন হয়। চারা বয়স ১২-১৫ দিন ( তিন পাতা ) হলে চারা রোপনের উপযোগী হয়।  চারা রোপনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতিতে  জমি চাষ করে ভাল ভাবে মই দিয়ে সমতল করতে হবে। জমি তৈরীর ১-২ দিন পর চারা রোপন করা যায়। রাইসট্রান্সপ্লান্টার দ্বারা চারা রোপনের সময় জমি ০.৫ -১.০ সেমি পানি রাখতে হবে। কারন চারা রোপনের পর পরই সেচ দিলে চারার ক্ষতি হতে পারে। পরবর্তীতে স¦াভাবিক পরিচর্যার  মাধ্যমে যতœ ি নতে হবে।

সিলেট সদর উপজেলা গত ৪ মে ২০১৭ খ্রিঃ তারিখে কান্দিগাঁও ইউনিয়নে কান্দিগাঁও ৩ ব্লকে একটি রাইসট্রান্সপ্লান্টার প্রদর্শনী ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে ৮০-৯০ জন কৃষক উপস্থিত থেকে  ধান রোপনের এই আধুনিক যন্ত্রটি দেখে । কৃষকদের সাথে মত বিনিময়ে দেখা যায় এই যন্ত্র গ্রহনে তারে খুবই উৎসাহী। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলার কৃষি অফিসার জনাব মোঃ কাজী মজিবুর  রহমান ,অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, মোছাঃ কোহিনুর বেগম,সংশ্লিষ্ট উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ সোহেব আহমদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ।

 মোছাঃ কোহিনূর বেগম
অতিরিক্ত কৃষি অফিসার
সিলেট সদর